রাজশাহীর দুর্গাপুর থানাধীন ধরমপুর গ্রামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন। আজ ১৭ মে শনিবার সকাল ১০:৩০ রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার নাম রহিদুল ইসলাম, পিতা মোকছেদ মোল্লা, গ্রাম ধরমপুর, থানা দুর্গাপুর। প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দ, আওয়ামী লীগ বিএন পির রাজনৈতিক জের ধরে গত ৭ আগস্ট ২০২৪ এলাকা বাসির সাথে আমার চাচাতো চাচা আব্দুস সোবহানের মারামারির ঘটনা ঘটে।
সেই মারামারির ঘটনায় আমার চাচার পরিবারের অনান্যরা আহত হলেও আমার চাচা রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। বিষয় টি নিয়ে আমরা মর্মাহত হই। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি এই ঘটনায় আমার পুরো পরিবারকে এই হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। ১৩ আগস্ট দুর্গাপুর থানায় দায়ের হয়া মামলায় আমার বড় ভাই তরিকুল কে ১ নং আসামি করে আমার বাবা মোকছেদ মোল্লা আমি রহিদুল সহ আমার বৃদ্ধা অসুস্থ মাকে ও আসামি করা হয়েছে।
আমরা জানতে পারি আমাদের সাথে আমার চাচার পুর্বের জমি জমা নিয়ে দ্বন্দের জের ধরে আমাদের নাম হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। এমন মিথ্যে মামলা হয়ার পর থেকে আমরা পুরো পরিবার প্রাণের ভয়ে বাড়িছাড়া হই। সেই সুযোগে আমার চাচার পরিবারের লোকজন আমাদের বাড়ির তালা ভেঙে বাড়িতে থাকা নগত অর্থ সহ জিনিস পত্র ও মাঠের আবাদী জমির পেয়াজ সহ অনান্য ফসলাদী লুট করেন। প্রায় ২০ থেকে ২২লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়। ৭তারিখের ঘটনায় মারামারি ঠেকাতে গিয়ে আমরাও আহত হই। আমরা ও রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসা গ্রহণ করি। এমন মিথ্যে মামলা রজু হয়ার কারণে আমরা কয়েকজন কে আসামি করে দুর্গাপুর থানায় মামলার উদ্দেশ্যে অভিযোগ দায়ের করি কিন্তু দুঃখের বিষয় অজ্ঞাত কারণে এখনো সেই মামলা রেকর্ড করেনি দুর্গাপুর থানা পুলিশ।
এই মামলার ঘটনা নিয়ে আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি সহ নানা ষড়যন্ত্র করছেন ধরমপুর গ্রামের বিএনপি সমর্থক রবিন। এই হত্যার ঘটনা নিয়ে রবিনের ষড়যন্ত্রে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। আমাদের নিকট বিভিন্ন ভাবে অর্থ দাবি করছেন রবিন। আমাদের নগদ অর্থ লুট ও জিনিস পত্র লুটপাট করার ঘটনা নিয়ে আমরা থানায় মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা গ্রহণ করবেনা মর্মে জানায়। আমরা আদালতে সেই লুটপাটের মামলা করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা, আমাদেরকে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানির বিষয় নিয়ে আপনাদের সহায়তা কামনা করছি।