রাজশাহীতে সুনামধন্য ইলেকট্রনিক্স ও পিন্ট মিডায়ার বিভাগীয় প্রতিনিধি আক্তার রহমানকে মুঠোফোনে বিভিন্ন হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি’র নেতা ফজলুর রহমান মুক্তার বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক জানান, ১৫ এপ্রিল মোবাইল ফোনে কল দিয়ে এই হুমকি দেয় সেই বিতর্কিত নেতা ফজলুর রহমান। এ নিয়ে বুধবার (৩০ এপ্রিল) বাঘা থানায় বাদী হয়ে সাংবাদিক আক্তার রহমান একটি সাধারণ (জিডি) করেন।
সাংবাদিক আখতার রহমানের অভিযোগ, চলতি এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করার পূর্বে সকাল ৯-৩৫ মিনিটে একটি কেন্দ্রের গেটের ছবি তুলে ক্যামেরাম্যান সৈকত। এ সময় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার নিকট থেকে ক্যামেরা ও তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে সহ ভিতরে নিয়ে গিয়ে বসাইয়া রাখেন।
পরবর্তীতে কেন্দ্র সচিব তাকে ক্যামেরা ও মোবাইল নিয়ে চলে যেতে বলেন। তবে ক্যামেরাম্যান চলে আসলে তার ক্যামেরা লেন্সটি অকেজো করে দিয়েছে বলে তৎক্ষনাত অভিযোগ তুলে ক্যামেরাম্যান সৈকত। বিষয়টি তার ক্যামেরাম্যান সৈকত সাংবাদিক আখতার কে জানাইলে তা মৌখিক ভাবে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে জানিয়েছিলেন সাংবাদিক আখতার রহমান।
পরবর্তীতে এই ক্যামেরা ভাঙ্গা কিংবা লেন্স অকেজো করার বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পক্ষ নিয়ে সাবেক জেলা যুবদলের নেতা ফজলুর রহমান মুক্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজস্ব ফেসবুকে সাংবাদিক আখতারের নামে নানা অশালীন, কুরুচিকর বক্তব্য, বাজে মন্তব্য ও ছবিসহ সামাজিক মানহানিকর পোষ্ট করে। প্রকাশ তাকে যে, সাংবাদিক আখতার রহমান রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয় হতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রীধারী ।
সাংবাদিকতায় তার যথেষ্ঠ সুনাম রয়েছে। এখানেই এই সাবেক যুবদল নেতা থেমে যান নাই। পরবর্তীতে সাংবাদিক আখতার রহমান কে আওয়ামী লীগ নেতা আখ্যা দিয়ে হুমকি দেন এবং বাঘা প্রেস ক্লাবে ”বাঘায় আ.লীগ নেতা আখতারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন” শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলন করে নানা মিথ্যা অসামাজিক কথা লিখেন এই সাবেক যুবদল নেতা ফজলুর রহমান মুক্তা।
বাঘা থানা অফিসার ইন-চার্জ (ওসি)) আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান বলেন, ‘বিএনপি নেতার হুমকির অডিও রেকর্ড শুনেছি। এই ঘটনায় সাংবাদিক থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।