নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কথিত এক অনলাইন টিভির কার্ড নিয়ে প্রতারনার শিকার হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক আরিফ মাতব্বর। গতকাল ২০ মার্চ সন্ধ্যায় সাংবাদিক আরিফ মাতব্বর রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযান নিউজ টিভি নামের একটি অনিবন্ধিত অনলাইন টিভির প্রতারণার কথা উল্লেখ করে অভিযোগটি দায়ের করেন। সাংবাদিক আরিফ মাতব্বর জানান তাকে ময়মনসিংহের এসকে মিজান নামের ব্যক্তি অভিযান নিউজ টিভিতে নিয়োগ প্রদানের কথা বলে ৫ হাজার টাকা গ্রহন করেন। রাজশাহী ব্যুরো হিসেবে তাকে আইডি কার্ড করেদেন। কার্ড করে দেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন উপজেলা প্রতিনিধি নিতে তাকে চাপ দিতে থাকেন। সেখানে শর্ত দেন উপজেলা প্রতিনিধিদের ৩ হাজার টাকা করে দিতে হবে। এছাড়াও প্রতি মাসে সকল প্রতিনিধিকে ৩শ টাকা করে সেই এসকে মিজানের বিকাশে দিতে হবে। সাংবাদিক আরিফ মাতব্বর তার এমন চাওয়া পুরণে ব্যর্থ হয়ে অনান্য সাংবাদিকদের নিকট জানতে পারেন অভিযান নিউজ টিভি একটি অনিবন্ধিত অনলাইন পেজ যার সাথে নিবন্ধন অথবা চ্যানেলের কোন সম্পর্ক নেই। নিজের সম্মানের কথা ভেবে আরিফ মাতব্বর প্রায় ৬ মাস আগে এসকে মিজানকে জানিয়ে দেন তার অভিযান নিউজ টিভি নামের সেই পেজে তিনি কাজ করবেন না। এর পরে রাজশাহীর মতিহার থানার মির্জাপুরের বিল্লাল নামের একজন দাদন ব্যবসায়ীকে সেই কথিত অভিযান নিউজ টিভিতে এসকে মিজান কার্ড করেদেন। হটাৎ গতকাল ২০ মার্চ দুপুরে এসকে মিজান নামের সেই কথিত সম্পাদক আরিফ মাতব্বর কে মুঠো ফোনে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। সেই সাথে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি প্রদান করেন। আরিফ মাতব্বর বলেন যেহেতু তার কথিত অভিযান নিউজ টিভির সাথে আমি জড়িত নই তাই তিনি আমাকে কেন ভয়ভীতি প্রদর্শন করলেন। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি আইন অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন সেই প্রত্যাশা করি। মুঠো ফোনে জানতে চাইলে রাজশাহীর মদিনা নগরের রবিউল নামের ব্যক্তি জানান তাকে কার্ড করে দিয়ে ৬ হাজার টাকা নিয়েছে। তিনিও জানেন না এসকে মিজানের এমন প্রতারণার বিষয়। সিরাজ গঞ্জের রোজিনা নামের নারী সাংবাদিক মুঠো ফোনে অভিযোগ করে বলেন তার নিকট থেকেও কার্ড দিয়ে এসকে মিজান নামের ব্যক্তি ৫ হাজার টাকা বিকাশে নিয়েছেন। তিনি পরে বুঝতে পারেণ এটি এসকে মিজানের প্রতারণা। জানতে চাইলে চন্দ্রিমা থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান অভিযান নিউজ টিভি নামের একটি অনলাইনের মালিক দাবিদার এসকে মিজান নামের ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরিফ মাতব্বর নামের একজন সাংবাদিক লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।