1. admin@stv24bd.com : admin : Sohag Ali
  2. akashmotaleb@gmail.com : Motaleb Hosen : বার্তা কক্ষ
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫১ অপরাহ্ন

আবারো অনিয়ম দুর্নীতির শীর্ষে যখন দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

এস টিভি নিউজ ডেস্ক:-
  • সর্বশেষ সংস্করণ:- মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৫

 

বাবর মোল্লা রাজশাহীঃ

 

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান হাফিজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে পূর্বে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও তিনি এখোন প্রতিষ্ঠানে বহাল থেকে নানা অনিয়দ দুর্নীতি জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা বলেন, দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কারণে আজ এই প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের কবলে।

এই বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা রয়েছে ৪০০ জন। তাদের সকলের কাছ থেকে প্রশংসাপত্র বাবদ ৪০০- ৫০০ টাকা করে গ্রহণ করছেন প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান।অপর দিকে বিদায়ী ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে নিয়েছেন ১৬০ টাকা করে ।

জানাযায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জায়গায় রয়েছে ৫৬টি দোকান যর সে দোকানগুলো থেকে প্রতি মাসে প্রতিষ্ঠানের নামে ভাউচার দিখিয়ে টাকা উত্তোলন করেন তিনি ।

প্রতিষ্ঠানের নামেই আবাদি জমি রয়েছে ও ২ টি পুকুর রয়েয়ে সেগুলো লিজ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান ।

দাউকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের এতগুলো সম্পত্তি ও দোকান ঘর থাকার পরেও প্রতিষ্ঠানে কোন দৃশ্যমান উন্নয়ন মুলক
কাজ হয়নি। প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতা নিয়ে পূর্বেও একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।

তার এমন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

তাদের দাবি, শীঘ্রই এমন দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষককে অপসারণ করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের।

দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাউচার করে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা উত্তোলনের বিষয় জানতে চাইলে দোকান মালিকরা বলেন, আমরা যারা ছোট দোকানদার রয়েছি তাদের নিকট থেকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা গ্রহণ করেন। বড় দোকানগুলো থেকে ১০০০ টাকা করে স্কুলের নামে ভাউচার দেখিয়ে গ্রহণ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষরা।

নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের বলেন , যে সকল অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উঠেছে সেগুলো মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট। প্রতিষ্ঠানের নামে যে দোকানগুলো রয়েছে ও পুকুর,আবাদি জমি আছে সেগুলো লিজ দিয়েছি ও দোকান ঘরগুলো টাকা ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ফান্ডে রেখেছি। এই টাকাগুলো আমরা প্রতিষ্ঠানের কাজেই ব্যয় করি। আর সেশন ফ্রী বাবদ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার উত্তলনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এই টাকাগুলো গ্রহণ করি সেটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবগত আছেন।

 

দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় জানতে চেয়ে দুর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার কে মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়গুলো আমি অবগত ছিলাম না অবগত হলাম তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সংবাদ টি ভালো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ