আরিফ স্টাফ রিপোর্টারঃ
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখ সকাল ০৭:০০ ঘটিকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানাধীন রেল গেইট বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসন্ন দুর্গাপূজায় নাশকতা করতে পারে এ তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিশোরগ্যাং লিডার ১। মোঃ রাব্বি (ককটেল রাব্বি) (২৫) পিতা-মৃত শহিদ, ২। মোঃ জাকির হোসেন (৩৫), পিতা-মৃত লাল চাঁন, ৩। মোঃ জিঞ্জির সোহেল (৩০), পিতা-মৃত মনি, সর্ব সাং- নিমতলা ফকিরপাড়া, থানা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং তারিখ অনুমান ১৯ :০০ ঘটিকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্টেডিয়াম মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রæপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার এবং পরে মারামারি সংগঠিত হয় । এসময় দুই ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটনায়। এতে একজন গুরুতর আহত হয়। উক্ত ঘটনাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সেনাবাহিনী ক্যাম্পের ৫০ থেকে ১০০ গজের ভিতরেই সংগঠিত হয়। আহত এক ব্যক্তির অভিভাবক চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানাতে একটি হত্যা চেষ্টা সহ বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন।
উক্ত ঘটনার পর অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সমন্বিতভাবে র্যাব-৫, সিপিসি-১ যৌথ অভিযানে ০৫ জন কে গ্রেফতার করলেও মূলহোতা রাব্বি পলাতক থেকে যায়।
পরবর্তীতে রাব্বির ভাই শিমুলকে ০৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীদের ভাষ্যমতে এরপর ০৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে দুপুরে এবং রাত্রে চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এই ঘটনায় পরবর্তীতে তাদের নামে (ধৃত আসামীদের) আরো একটি মামলা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে (ধৃত আসামীদেরকে) গ্রেফতারের চেষ্টা করলেও অতি ধূর্ত রাব্বি এবারও পলাতক থেকে যায়।
পরবর্তীতে র্যাব এর আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানাধীন রেল গেইট বাজার এলাকা থেকে ৯ অক্টোবর সকাল ৭ সময় তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উপরোক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।