নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কেন্দ্রীয় কারাগারের ৬ সেল নামক গারদ থেকে লাইফ সাজাপ্রাপ্ত একজন বন্দী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। গতকাল ভোররাতে এমন ঘটনা জানাজানি হলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে একাধিকবার রাজশাহীর জেল সুপার ও জেলারকে মুঠো ফোনে ফোন দিলে তারা ফোন তুলে নাই। সরাসরি সাক্ষাতের জন্য গেলে তারা সাংবাদিকদের উপস্তিতি টের পেয়ে উভয়েই ছুটে যান চলতি দায়িত্ব থেকে ডি আইজি প্রিজন্সের দায়িত্ব পাওয়া ডি আইজি প্রিজন্সের নিকট। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও তারা অজ্ঞাত কারণে দৈনিক আওয়ার বাংলাদেশের সাথে কথা বলেনি। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের একাধিক সুত্র বলছে আত্নহত্যা করা সেই বন্দীকে একাই রাখা হয়েছিল ৬ সেলে যা জেল কোড অনুযায়ী নিয়ম বহিভূত। অভিযোগ উঠেছে নিহত বন্দীর উপর কারা কর্তৃপক্ষ কোন কারণে চাপাচাপি করছিলেন। সুত্র বলছে এরই জের ধরে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে কি কারণে কারা কর্তৃপক্ষ তার উপর চাপ সৃষ্টি করেছে সেই বিষয়ে এখনো মুখ খুলেনি নিহতের পরিবার। অপর দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের অনিয়মের ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ অব্যহত থাকায় রহসময়ী সব তথ্য এসেছে গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে। বে পরোয়া ছাত্রলীগের ডি আইজি প্রিজন্সের নির্দেশে কারাগারের লুটপাটের তথ্যের একাধিক প্রমান হাতে আসায় প্রতিবেদককে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দেওয়ার মত ঘটনার জন্ম দিয়েছেন ডি আইজি প্রিজন্স কামাল হোসেন। ছাত্রলীগের ডি আইজি প্রিজন্সের রষাণলে পড়ে সম্প্রতি সময়ে চাকরি হারিয়েছেন একজন কারারক্ষী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল জামাত শিবিরের বন্দীদের কারা অভ্যন্তরে সহায়তা করা। অভিযুক্ত মনিরুলের সাথে চাকরি করা একাধিক কারারক্ষী জানান মনিরুল ছিলেন প্রতিবাদী সৎ একজন কারারক্ষী। তাকে অন্যায় ভাবে জামাত শিবিরের সহচর বানিয়ে তার বিরুদ্ধে যুক্তি বিহীন অভিযোগ এনে তাকে চাকরিচ্যুত করেছেন ছাত্রলীগের স্যারের চক্ররা। রাখিব নিরাপদ দেখাবো আলোর পথ এই স্লোগান বিতর্কিত করছেন তিনি। সুত্রটি আরো বলছে কারা মহাপরিদর্শকের নজরে আসা অভিযোগের পর রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হটাৎ শাস্তি স্বরুপ বদলী হন জেল সুপার জলীল।এর পরে বন্দীরা দীর্ঘ স্বাস ফেলেন নতুন জেল সুপার এসে কারা অভ্যন্তরের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে তাদের স্বস্তি ফিরিয়ে আনবেন। কিন্তু কাশিমপুর কারাগার থেকে দেশের আলোচিত জেল সুপার রত্না রায় যোগদান করে সেই অনিয়মের সিন্ডিকেট আরো শক্ত হয়ে বসেছে কারা অভ্যন্তরে। কারাহাসপাতালের ফারুক নার্স হয়ে ফার্মাসিষ্টের দায়িত্ব নিয়ে দীর্ঘ দিন নিয়ন্ত্রণ করছেন কারাহাসপাতালের ধোয়াশে রুগী ভর্তির বানিজ্য। কারা হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণে রাখা কয়েদী সুইট,অনিক,সাইফুল,রোকন,শফিকুল এদের দেবতা নার্স ফারুক। ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে সুস্থ বন্দী হয়েযান রোগী। দীর্ঘ সময় বটগাছের আর্শীবাদে থাকা ফারুক বিহীন কারা হাসপাতাল যেন অচল। ফারুকের যাদুর সাথে ঝাড় ফুক নেওয়া কর্তাদের নাম সহ চমক প্রদক কিছু প্রকাশ হবে আগামী পর্বে। তবে সদ্য যোগদান কৃত কারা মহাপরিদর্শক একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান কারাগারে সকল অনিয়ম বন্ধে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।কোন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কারারক্ষীদের ছাড় দেওয়া হবেনা।