1. admin@stv24bd.com : admin : Sohag Ali
  2. akashmotaleb@gmail.com : Motaleb Hosen : বার্তা কক্ষ
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন

রাজশাহী দুর্গাপুরে ক্র্যাশ গেম থেকে ক্যাসিনো: গ্রামীণ যুবকদের সর্বনাশ করছে হৃদয়ের জুয়া সিন্ডিকেট পর্ব-১

এস টিভি নিউজ ডেস্ক:-
  • সর্বশেষ সংস্করণ:- শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫

 

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার আমগাছি এলাকার ভাঙারিপাড়া গ্রামে নিষিদ্ধ অনলাইন জুয়া পরিচালনার একটি চক্রের সন্ধান মিলেছে। এই চক্রের মূল হোতা হিসেবে উঠে এসেছে হৃদয় ইসলাম নামের এক যুবকের নাম, যিনি আমগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানান, দীর্ঘদিন ধরেই হৃদয় ইসলাম গোপনে অনলাইন ভিত্তিক জুয়া পরিচালনা করে আসছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপে “ক্র্যাশ গেম”, “বেটিং”, “কার্ড জুয়া”, এমনকি ভার্চুয়াল ক্যাসিনোর মতো আন্তর্জাতিক জুয়া প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। এসব জুয়া খেলায় অংশ নিতে তরুণদের টার্গেট করা হয়, যারা প্রথমে উৎসাহী হয়ে উঠলেও পরে সর্বস্ব হারিয়ে ফেলছে।

অভিযোগ রয়েছে, হৃদয়ের পিতা আমগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম তার স্থানীয় পরিচিতি কাজে লাগিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তার ছেলেকে সহযোগিতা করে আসছেন ফলে প্রকাশ্যেই চলছে এই অনলাইন জুয়া কার্যক্রম।

এ বিষয়ে দুর্গাপুরের একাধিক ভুক্তভোগী যুবক বলেন,“প্রথমে আমরা বিনোদনের জন্য জুয়ায় ঢুকি, পরে আসক্ত হয়ে পড়ি। হাজার হাজার টাকা হারিয়েছি, এখন ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে।”

স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা জানান, যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে। অনেকে স্কুল, কলেজ, এমনকি চাকরি ছেড়ে দিনরাত অনলাইন বেটিংয়ে ডুবে আছেন। তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত এই জুয়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হৃদয় ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি অনলাইন জুয়া পরিচালনার বিষয়টি অস্বীকার করেন ।

তবে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে হৃদয়ের বাবা আমগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান , “আমি শুনেছি আমার ছেলে অনলাইন জুয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আমি তাকে একাধিকবার নিষেধ করেছি। আপনারা আবারও আমাকে বিষয়টি জানালেন, আমি চেষ্টা করব তাকে এ ধরনের নিষিদ্ধ কার্যক্রম থেকে ফিরিয়ে আনতে।”

অনলাইন জুয়া বর্তমান সমাজে একটি ভয়াবহ ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার করে এ ধরনের অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে আরও বিপর্যয় নেমে আসতে পারে গ্রামীণ তরুণ সমাজের ওপর।

চলবে………..

সংবাদ টি ভালো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ