বিশেষ প্রতিনিধিঃ

গত ৫ আগস্টের পরে দুর্গাপুর উপজেলা বি এনপির নেতা কর্মীরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে সাংগঠনিক ভাবে কোন্দলের দিকে রুপ নিচ্ছে। সুত্র বলছে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা মাঠে না থাকায় বি এনপির ত্যাগী নেতা কর্মীরা যখন দুর্গাপুর উপজেলাকে ঢেলে সাজাতে ব্যস্ত ঠিক তখন বি এনপির নির্যাতিত নেতা কর্মীদের উপর মনগড়া নিয়ম চাপিয়ে তাদের হয়রানি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। জানাগেছে সরকারি নিয়ম অমান্য করে এক শ্রেনির অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিবছরের মত এই বছরেও আবাদি জমিতে পুকুর খনন শুরু করেছেন অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আর্শীবাদেই পুকুর খননের কাজ চলমান রয়েছে। স্থানিয়রা আবাদি জমি রক্ষা করতে একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেও কোন সূরহা না পেয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক সহ রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।অপর দিকে উপজেলাটির কান পাড়া এলাকায় একটি নিয়োগ কেন্দ্রকরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পছন্দের ব্যক্তিকে সেই নিয়োগে ঢুকানোর অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ বঞ্চিত সেই ব্যক্তি জানান তাকে অন্যায় ভাবে সেখান থেকে বঞ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে। দুর্গাপুর উপজেলার সরকারি জায়গা নিয়ম বহিভূত ভাবে আওয়ামী লীগ নেতাকে ভোগ করানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিএনপির একাধিক নেতা কর্মী দৈনিক আওয়ার বাংলাদেশকে অভিযোগ করে বলেন শিক্ষা জীবন থেকেই দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাত্র লীগের রাজনীতি করতেন। তিনি এখনো সেই আদর্শকে বুকে ধারণ করে কৌশলে বিএনপির মুল ধারার নেতা কর্মীদের হয়রানি করতে না কৌশল অবলম্বন করছেন। ইউ এন ও অফিসের একটি সুত্র বলছে বিএনপির একটি পক্ষের সাথে উপরে সম্পর্ক তৈরি করে গোপনে তার প্রিয় রাজনৈতিক দলের হয়ে অলৌকিক আর অনিয়মের ঘটনার জন্ম দিচ্ছেন। তার নানা অনিয়মের ঘটনা নিয়ে তাকে বরখাস্তের দাবি তুলে মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটি সুত্র জানান তার পুর্বের কর্মস্থলের খতিয়ান ধোয়াশে। তিনি আওয়ামী সরকারের সময়ে নিজের দাপট দেখিয়ে নানা বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়ে আলোচনায় ছিলেন। হটাৎ করে দুর্গাপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি যোগদান করে নানা অনিয়মের জন্ম দিয়েছেন। এরই মাঝে তার নানা অনিয়মের ঘটনার অভিযোগ রাজশাহী জেলা প্রশাসক পর্যন্ত গড়িয়েছে।দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের সত্যতা জানতে তাকে মুঠো ফোনে ফোন করলে তিনি বলেন পুকুর খনন মানে বেড়া নামক স্থানের পুকুরের অভিযোগের কথা আমি শুনেছি। বিএনপির ত্যাগী নেতা কর্মীদের সাথে তার কোন প্রকার কিছু হয়নি বলেও তিনি দাবি করেন। অপর দিকে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ সহ তাকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে বলে নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগীরা