নাটোর প্রতিনিধি
চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে নাটোরের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি ও নাটোর-৪ আসনের সাবেক এমপি পুত্র আশিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভনের নাম উল্লেখ করে ৩২ নেতার বিরুদ্ধে নাটোরের গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে মামলাটি দায়ের করেছেন পৌর বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. সালাহ উদ্দিন কাফি।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই রাতেই নিজ বাড়ি থেকে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন রান্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত ওই যুবলীগ নেতাকে বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন গুরুদাসপুর থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মামলার ১ নম্বর আসামি সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি ও ২ নম্বর আসামি নাটোর-৪ আসনের সাবেক এমপির পুত্র নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আশিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভনের নির্দেশক্রমে কিছু নামধারী আওয়ামী লীগ নেতা আমার ও বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম বিপ্লবের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। সে সময়ে জীবনের ভয়ে ৫ লাখ টাকা দিই। বাকি ৫ লাখ টাকার জন্য হুমকিও দিতে থাকেন।
গত ২০২২ সালে ২১ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার পৌর সদরের চাঁচকৈড় ক্যাফে রোজ রেস্টুরেন্টে নাশতা খেতে থাকলে আওয়ামী লীগ নেতা মিল্টন, সাহরিয়ার হোসেন সোহান, রেজাউল করিম সবুজসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ধারালো হাঁসুয়া, চায়নিজ কুড়াল ও লোহার চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের ওপর আক্রমণ করেন। এ সময় সবাই পালালেও শরিফুল ইসলাম বিপ্লবের মাথায় ধারালোর অস্ত্রের আঘাত লাগে। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে হয়। সে সময়ে থানায় তাদের নামে নেওয়া হয় না কোনো অভিযোগ।
গুরুদাসপুর থানার ওসি গোলাম সাওয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, মামলা দায়েরের পর পরই আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে আসামি বিয়াঘাট ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রান্টুকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।