1. admin@stv24bd.com : admin : Sohag Ali
  2. akashmotaleb@gmail.com : Motaleb Hosen : বার্তা কক্ষ
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ন

জেলা কমিটির নির্দেশনা অমান্য করে মুন্ডুমালায় বিএনপির  ইফতার ও দোয়া মাহফিল

এস টিভি নিউজ ডেস্ক:-
  • সর্বশেষ সংস্করণ:- রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫

 

তানোর প্রতিনিধি ঃ

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির নির্দেশনায় অমান্য করে তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভায় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ-উপলক্ষ্যে শনিবার শেষ বিকেলের দিকে মুন্ডুমালা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির সিনিয়র নেতা মাওলানা আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বেগম জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, মেজর জেনারেল (অব) শরিফ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আখেরুজ্জামান হান্নান, সাবেক সম্পাদক মফিজ উদ্দিন, সাবেক সভাপতি ও সরনজাই ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খান, সিনিয়র নেতা প্রভাষক নুরুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী, সাবেক বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান হেনা, পৌর আহবায়ক কমিটির সদস্য প্রভাষক রেজা, ফিরোজ কবির, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শরীফ উদ্দিন মুন্সি, উপজেলা ছাত্র দলের আহবায়ক মাসুদ করিম।

এদিকে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির নির্দেশনা তানোর উপজেলায় দলীয় ভাবে কোন ইফতার দেয়া যাবে না। সেই নির্দেশনা কে অমান্য করে পৌর কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিবকে না জানিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয় বলে জানান সদস্য সচিব আতাউর রহমান। তিনি আরো জানান, চলতি মাসের ১১ মার্চ উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন ইউপির বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ইফতার মাহফিলের প্রধান অতিথি শরিফ উদ্দিন কে বরণ করা নিয়ে দুই গ্রুপের তুমুল সংঘর্ষ  হয়। সংঘর্ষে মারাত্মক আহত হয় বিএনপি কর্মী গানিউল। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় গানিউলকে। পরদিন বুধবার বিকেল তিনটার দিকে চিকিৎসা ধীন অবস্থায় গানিউল মারা যান। গত বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে গানিউলের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজের আগে উপজেলা নেতাদের সাথে সভা করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। সেখানে নেতাদের তিনি কেন্দ্রের নির্দেশ উপজেলার ইফতার করা যাবে না। কিন্তু মুন্ডুমালা পৌর কমিটির সদস্য ফিরোজ কবির ও প্রভাষক রেজার সার্বিক তত্বাবধানে ইফতার অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে জেলার আহবায়ক কেন্দ্রের অনুমতি ক্রমে নিষেধ করেন। তারা জেলা কেন্দ্র কাউকে মানে না। আমি জেলা কমিটি কে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেছি।

ফিরোজ কবিরের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এবিষয়ে কিছুই জানিনা। এইক ধরনের কথা বলেন প্রভাষক রেজাও।

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আখেরুজ্জামান হান্নান জানান, জেলা কমিটি উপজেলায় ইফতার করতে নিষেধ করেছে। কিন্তু পৌরসভায় করেছে কিনা জানা নেই। ইফতার পরে নেতাদের সাথে বসা হবে বলে দায় সারেন তিনি।

জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদের মোবাইলে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার জানান, নিষেধ করার পরও যদি ইফতার আয়োজন করে তাহলে জেলা কমিটি বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

এবিষয়ে জানতে মেজর জেনারেল (অব) শরিফ উদ্দিনের মোবাইলে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এজন্য তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

সংবাদ টি ভালো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ