1. admin@stv24bd.com : admin : Sohag Ali
  2. akashmotaleb@gmail.com : Motaleb Hosen : বার্তা কক্ষ
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০০ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্রশাসনের নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে পৌরসভায় পানের হাট নিয়ে বিপাকে এলাকাবাসী 

এস টিভি নিউজ ডেস্ক:-
  • সর্বশেষ সংস্করণ:- সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫

 

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

এক সময় রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসভাটি সরকারের জরিপে ২য় শ্রেনির পৌরসভা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পৌরসভাটিতে কর্মরত একাধিক সুত্র বলছে পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা মেয়র সাইদুর রহমান ও পুঠিয়া দুর্গাপুরের সাবেক সংসদ মরহুম নাদিম মোস্তফার প্রচেষ্টার ফলেই এমন সুনাম কুড়িয়েছিল পৌরসভাটি। এর পরে সরকারের পালা বদলে খুঁড়িয়ে চলা পৌরসভাটি এখন হাটবাজারের দোকানে পরিনত হয়েছে। সপ্তাহে দুই দিন জমকে বসেন হাট পানের হাট। পৌরসভাটি রক্ষণা বেক্ষণের জন্য সিমানা প্রাচীর গেইট নাইট গার্ড সবই আছে। এর পরেও বুধবার ও রবিবার হাট বসানোর জন্য গেইট খুলে দেওয়া হয় ভোর রাত থেকে। জন দুর্ভোগ সৃষ্টি করে এই হাট চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। স্থানিয়রা জানান এই পানের হাটের কার্যক্রম ক্রয় বিক্রয়ের লেনদেন পৌর সভার রুমের দরজা পর্যন্ত চলেযায়। ফলে পৌরসভার কর্মচারী থেকে সেবা গ্রহিতারা পড়ছেন চরম বিপাকে। সেবা গ্রহিতার অনেকেই মুখোমুখি হয়েছেন দৈনিক আওয়ার বাংলাদেশের সামনে। পৌরসভার দুইজন কর্মচারী এমন হ য ব র ল অবস্থা নিয়ে দেশের বদনাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যে সুযোগ সন্ধানীদের দায়ী করছেন। তারা বলেন ৫ আগস্টের পরে আওয়ামী লীগের লোকজন হাট ছেড়ে সরেগেলে কিছুদিন হাওয়ায় উপর এই হাট চলেছে। গায়েবি ভাবে টাকা আদায় হয়েছে।এর পরে ইজারা হয়ার আগেই একটি প্রভাবশালী মহল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমি এর নাম ব্যবহার করে হাট বসিয়েছেন পৌরসভার ভেতরে। এর পরে নতুন ভাবে ইজারা হয়ার পরেও এই ভোগান্তি চরম আকারে রুপ নিয়েছে পৌরসভা অভ্যন্তরে । এ সকল কর্মকান্ডের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে দায়ী করেন স্থানীয় বিএন পি নেতা বাবু। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন হাট বসানোর ঘোর বিরোধিতা করেন বিএনপি’র একাধিক নেতাকর্মী। তাদের দাবি দেশের এই ক্লান্তি সময়ে বিএনপি চায়না কোন ধরনের অরাজকতা দখলবাজি। উপজেলা প্রশাসন ও হাট ভোগীদের কারণে যেন দলের ইমেজ নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে আমরা চাই এমন বিতর্কিত হাট বন্ধ হোক। সেই সাথে কেন এমন জায়গায় হাট বসানো হলো সেই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মহলকে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেন । এমন হাট ও ভোগান্তির বিষয় নিয়ে জানতে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন তলে নাই- সহকারী কমিশনার ভূমি- দৈনিক আওয়ার বাংলাদেশকে জানান আমি নতুন যোগদান করেছি আগের বিষয় জানিনা। তবে হাট বসানোর জন্য কোন জায়গা না থাকার কারণে পৌরসভাতে হাট বসিয়েছেন এর বেশি তিনি জানেন না। ভূমি অফিসের একজন কর্মকর্তা জানান যেহেতু সরকারি সকল হাটের প্রতিনিধি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাই বিষয়টি তাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল। পৌরসভার ভেতরে খুব অল্প জায়গা এখানে হাট বসানো কোন ভাবেই উচিত হয়নি। পাশে স্কুলের কমল মতি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও বিরুপ প্রভাব পড়েছে এই হাটের।

সংবাদ টি ভালো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ