নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সাব রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক সমিতির নব্য বনে যাওয়া নেতা উজ্জল ও বাবুল আক্তারের দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সদস্যরা।ক্ষমতার পালা বদলের সাথে সাথে উজ্জ্বল ও বাবুল আক্তারের ক্ষমতার দাপটে কোন ঠাসা হয়ে পড়েছেন তারা।
জানাগেছে, সম্প্রতি সংবাদ চলমান টিভিতে উজ্জ্বল ও বাবুল আক্তারের নানা অপকর্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে হামলার শিকার হন সাধারন দলিল লেখকরা। সম্পত্তি সময়ে অনিয়ম দুর্নীতির বোঝা মাথায় নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন এই দুর্নীতিবাজ দলিল লেখক সমিতির নব্য নেতা বাবুল আক্তার ও উজ্জল।
সুএ বলছে, গত ২ অক্টোবর বাবুল আক্তার ও উজ্জ্বল তাদের দলবল নিয়ে দলিল লেখক সমিতিতে এসে সাধারন দলিল লেখকদের গালিগালাজ করতে থাকেন।এ সময় মোস্তাক নামের এক দলিল লেখক গালি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে উজ্জ্বল ও বাবুল আক্তারের বাহিনী হামলা করেন।
সেবা গ্রহীতারা জানান, উজ্জল ও বাবুল আক্তার প্রকাশ্যে বলেন দলিলের ফি কোন দলিল লেখক সরাসরি অফিসে নিতে পারবে না।প্রতিটি গ্রাহক তাদের সিন্ডিকেটের কাছে টাকা জমা দিলে তখন দলিল লেখকরা দলিল করতে পারবে। এবং উজ্জ্বল ও বাবুল আক্তার এই দলিল লেখক সমিতির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নানা অনিয়ম দুর্নীতির জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন।
এই দলিল লেখক সমিতিতে পিয়ন থেকে শুরু করে সকলকে সালাম দিয়ে খুশি রাখতে হয়।সালামি না দিলে তাদের দলিল আটকে রেখে চাপের মুখে ফেলে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন।
নানা অনিয়ম দুনীতি ও হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বাবুল আখতারকে মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন, আমাদের দলিল লেখক সমিতিতে হমলার কোন যটনা যটেনি গত বুধবারে সেনাবাহিনীরা তদন্তে এসেছিলো তারা তদন্ত করে চলে গেছে। আর বেশি কিছু বলতে পারব না আপনার কিছু জানার থাকলে সরাসরি অফিসে এসে জানবেন।
এমন দুর্ধর্ষ অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে পুঠিয়া সাব রেজিস্টার মোস্তাফিজুর রহমানকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
এমন দুর্ধর্ষ অনিয়ম দুর্নীতি ও হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে পুঠিয়া সাব রেজিস্টার মোস্তাফিজুর রহমানকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
দলিল লেখক সমিতির সিন্ডিকেটের নব্য নেতা উজ্জল ও বাবুল আখতারের এমন হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সাধারণ দলিল লেখক সহ জমির ক্রেতা বিক্রেতা ও সেবা গ্রহিতারা। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করে এবং অতি দ্রুত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আনার দাবি জানান।